ক্রাইম ডেস্কঃ রাজধানীর মালিবাগে চিকিৎসক কর্তৃক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই রোগীর শারীরিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। থেরাপি নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তরুণীর বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগের ‘পেইন সলুয়েশন অ্যান্ড ফিজিও থেরাপি সেন্টার’-এ থেরাপি নিতে যান ওই তরুণী। তার বয়স ১৭ বছর। আর সেখাইনে ডা. মাহফুজুর রহমান তরুণীকে ধর্ষণ করেন। তরুণীর বাবা বাদী হয়ে রমনা থানায় ঘটনার রাতেই মামলা করেন, মামলা নং ২৭।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মফিজুর রহমান জানান, পুলিশ আসামি ডা. মাহফুজুর রহমানকে খুঁজছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। আটক করা হয়েছে তার সহকারী রাবেয়াকে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাবা এ বিষয়ে অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে আমরা মামলা নেই।

মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় ৮/এ বাড়িতে ওই থেরাপি সেন্টার চিকিৎসা দেয়। প্রতিবন্ধী মেয়েকে থেরাপির জন্য গত ১০ দিন ধরেই মাহফুজুর রহমানের কাছে আনা নেওয়া করছিলেন তার মা। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাকে থেরাপি দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে যথারীতি থেরাপি নিতে মায়ের সঙ্গে আসেন তরুণী। আযান দিলে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান মা। এ সময় ডাক্তার মাহফুজ কৌশলে তার সহকারী রাবেয়া বেগমকে থেরাপির কক্ষ থেকে সরিয়ে দেন। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর মাহফুজ থেরাপি সেন্টার থেকে পালিয়ে যান, জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, ডা. মাহফুজের বাসা মগবাজারের মধুবাগ এলাকায়। সহকারী রাবেয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা হয়। শিগগিরই মাহফুজ গ্রেপ্তার হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছে পুলিশ।

এদিকে প্রতিবন্ধী মেয়েটির বাবা বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। মামলাও নিয়েছে পুলিশ। এ মুহূর্তে মাহফুজ পলাতক। কিন্তু আমাকে দূর থেকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি মামলা তুলে নেব না। আমার অসুস্থ মেয়ের প্রতি এমন অবিচারের বিচার চাই।